উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র সূচক মানচিত্র (অধ্যায় ৬)
Published 21-04-26
338 Views
Md. Monjujul Alam
Geography Tutor
Dist : Murshidabad

উপগ্রহচিত্র ও ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র

  1. উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্রের মধ্যে পার্থক্য :

ভিত্তি

উপগ্রহ চিত্র

ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র

i) প্রকৃতি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে সংযোগ ছাড়া ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু বা উপাদানের চিত্র তোলাকে বোঝায় । প্রচলিত বিভিন্ন প্রতীক চিহ্নের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের প্রাক্রিতিক ও সাংস্ক্রতিক উপাদানগুলিকে মানচিত্রে উপস্থাপনকে বোঝায় ।
ii) স্কেল উপগ্রহ চিত্র একই উচ্চতার জন্য এতে স্কেল সর্বত্র সমান । এতে স্কেল বিভিন্ন হয় । নির্দিষ্ট স্কেলে আঁকা হয় ।
iii) ভূপৃষ্ঠের বৈচিত্র উপগ্রহ চিত্রে নিদিষ্ট রং-এ লাল, নীল ও সবুজ রঙে দেখানো হয় । প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন নির্দিষ্ট রং ও রেখার সাহায্যে দেখানো হয় ।
 iv) এলাকার আয়তন বহু শত বর্গ কিলোমিটার ব্যাপী অঞ্চলে ছবি একবারে তোলা যায় । মাত্র কয়েক বর্গমিটার অঞ্চলের জরিপ একবারে করা যায়।
 v) ব্যায় ব্যায় প্রচুর ব্যায় কম
vi) প্রযুক্তি অতি উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয় । উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয় ।

 

  1. FCC :-কোনো উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রকে নিখুঁত করার জন্য ইমেজ প্রসেসিং এর সময় কোনো লক্ষ্য বস্তুর প্রকৃত রঙের পরিবর্তে ছদ্ম রঙ ব্যাবহার করা হলে, তাকে FCC বা False Colour Composite বলে ।

উদাহরন :-

বস্তু বা উপাদান

ছদ্ম রং( FCC )

i) স্বাভাবিক উদ্ভিদ, সবুজ শস্যক্ষেত্র গাঢ় হালকা বা উজ্জ্বল লাল
ii) ঘরবাড়ি বসতি দানা দানা ভাবযুক্ত নীল
iii) পতিত জমি, অব্যবহৃত কৃষি জমি সাদা থেকে ফিকে সাদা
iv) জলাভূমি সবুজ থেকে কালো
v) উদ্ভিদ বা ঘাস লালছায়া
vi) ঘন বনভুমি গাড় লাল
vii) অগভির বনভূমি ঘষা লাল
viii) সবুজ ধান জমি লালচে
ix) হলুদ ( পাকা ) ধান জমি কালচে লাল
x) ভেজা জমি বা জলাভূমি গাঢ় আকাশী
xi) পাতিত জমি / লাল মাটি সবুজ
xii) গভির সমুদ্র কালো
xiii) জলভাগ গাড় নীল
xiv) বসতি সবুজ নীল
  1. পুরো নামঃ

FCC – False Colour Composition.

TCC – True Colour Composition.

EMR – Electro Magnetic Radiation.

ISRO – Indian Space Research Organisation.

NASA – National Aeronautics and Space Administration.

SOI – Survey Of India.

GIS – Geographical Information System.

RGB –Red, Green, Blue.

  1. সেন্সার (Sensor) :- এক প্রকার ক্যামেরা যা কৃত্রিম উপগ্রহে রাখা থাকে ।
  2. বিভেদন (Resolution) :-সেন্সরের মাধ্যমে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের দ্বারা গৃহীত উপগ্রহ চিত্রের বিভিন্ন বস্তু, ক্ষেত্র ও উপাদানের পৃথকী করনের ক্ষমতা হল বিভেদন ।
  3. পিক্সেল (pixel) :- ডিজিটাল আলোকচিত্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশ হল পিক্সেল ।
  4. দূর সংবেদন (Remote Sensing):-দূর সংবেদনের শব্দগত অর্থ হল দূর থেকে কোনো বিষয় সম্পর্কে ধারনা বা নমুনা সংগ্রহ করা, অর্থাৎ কোনো বস্তুকে স্পর্শ না করে তার সম্বন্ধে পাঠ গ্রহন করাকেই দূর সংবেদন (Remote Sensing) বলে ।
  5. GPS : – GPS এর পুরো কথাটি হল Global Positioning System পৃথিবী প্রদক্ষিণরত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের যে কোনো স্থানের অবস্থান নির্নয়ের পদ্ধতিকে সংক্ষেপে GPS বলে ।
  6. GIS :- GIS বা Geographical Information System হল এমন একটি তথ্য নির্ভর পদ্ধতি যেখানে বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, ব্যখ্যা, বিশ্লেষণ ও তার বাস্তব প্রয়োগের সন্ধান দেয় । প্রকৃতপক্ষে দূর সংবেদন ব্যাবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যে সংখ্যাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয় সেগুলি Computer এর সাহায্যে বিচার বিশ্লেষণ ও তার বাস্তব প্রয়োগের অত্যাধুনিক পদ্ধতি হল GIS.
  7. সানসিনক্রোনাস ও জিও স্টোশনারী উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য লেখ

বিষয়

সানসিনক্রোনাস বা সূর্য সমালয় উপগ্রহ

জিওষ্টেশনারী বা ভূসমালয় উপগ্রহ

সংজ্ঞা যে সব উপগ্রহ সূর্যের আপাত কোনের সাপেক্ষে মেরু কক্ষপথে উত্তর থেকে দঃ এ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে তাদের সূর্য সমালয় বা সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহ বলে । যে সব উপগ্রহ পৃথিবীর কোনো একটি স্থানের সাপেক্ষে আবর্তন গতির সমান তালে 24 ঘণ্টায় একবার পশ্চিম থেকে পূর্বে একবার পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে তাদের জিও ষ্টেশনারী উপগ্রহ বলে ।
অবস্থান এগুলি 750 – 900 km উর্ধ্বে মেরু অক্ষ বরাবর থাকে । এগুলি 36000 km উর্ধ্বে নিরক্ষরেখা বরাবর থাকে ।
তথ্য এটি ভূ- সম্পদের তথ্য জোগান দেয় । উপগ্রহ চিত্র তৈরি করে । এটি আবহাওয়া ও যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য জোগান দেয় ।
প্রকৃতি এগুলি পৃথিবীর দুই মেরু বরাবর আবর্তন করে বলে একে Near Polar Sateliteবলে । এগুলি নিরক্ষীয় তল বরাবর আবর্তন করে বলে একে Equatorial Orbital Satelite বলে ।
উদাহরণ এই উপগ্রহগুলি হল – IRS, SPO, Landsal etc. এই উপগ্রহগুলি হল – INSAT.

 

  1. উপগ্রহ চিত্রের ব্যাবহার লেখ

উপগ্রহ চিত্রের ব্যাবহার :

i) উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে জল সম্পদের পরিমাপ করা যায় ।

ii) উপ গ্রহচিত্রের পরীক্ষা করে সমুদ্র পৃষ্ঠের উত্থান ও পতন এবং হিমবাহের পশ্চাৎ অপসারন মাপা হয় ।

iii) উপগ্রহ চিত্র থেকে উদ্ভিদের ধরন ও বণ্টন জানা ।

iv) উপগ্রহ চিত্র ব্যাবহার করে কৃষিজ ও খনিজ সম্পদের বণ্টন সম্পর্কে বিশদ ভাবে জানা যায় ।

v) মাটির ধরন ও বণ্টন সম্পর্কে জানার জন্য একে ব্যাবহার করা হয় ।

vi) বন্যা, খরা, ভুমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা জানার জন্য উপগ্রহ চিত্র ব্যাবহার করা হয় ।

vii) উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে বাঁধ নির্মাণ, রেলপথ, সড়কপথ, বন্দর, শিল্প, শহর, প্রভৃতি, নির্মাণ কাজের জন্য জমির প্রকৃতি ও অবস্থান সঠিক ভাবে জানা যায় ।

viii) প্রতিরক্ষা ও গবেষণার কাজে উপগ্রহ চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন মানচিত্র ।

  1. ভূবৈচিত্র্য সুচক মানচিত্রের ব্যাবহার ও গুরুত্ব / প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য কী ?

উঃ – ভূবৈচিত্র্য সুচক মানচিত্রের পাঠএর প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য :

i) ভূ-প্রকৃতি,পাহাড়, মাল্ভূমি, নদনদী, জলাশয়, হ্রদ, বনভূমি ইত্যাদি নানান প্রাকৃতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা ।

ii) জন বসতি, যাতায়াত বা পরিবহন ব্যাবস্থা, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পর্কে জানা যায় ।

iii) কোনো অঞ্চলে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলি পারস্পরিক সম্পর্ক ও নির্ভরশীলতা সম্পর্কে জানা যায়।

iv) কোনো অঞ্চলের সম্পদের বর্ণনা পাওয়া যায় ।

v) আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করার জন্য এই মানচিত্র উল্লেখযোগ্য ।

vi) সামরিক প্রয়োজনে এই মানচিত্র ব্যাবহার হয় ।

  1. উপগ্রহ চিত্রে রং ব্যাবহার করা হয় কেন ?
    অথবা, উপগ্রহ চিত্রে রঙের ব্যাবহার সম্পর্কে লেখ

উঃ – উপগ্রহ চিত্রে রঙের ব্যাবহার :উপগ্রহ চিত্রে দুই ধরনের রং ব্যাবহার করা হয় – i) প্রকৃত রং এবং ii) ছদ্ম রং

i) প্রকৃত রং এর ব্যাবহার :ভূ- পৃষ্টস্থ বস্তু গুলিকে আমরা সাধারন চোখে যে রঙে দেখতে পাই, সেই রঙেই যদি উপগ্রহ চিত্রেও বস্তুগুলিকে উপস্থাপন করা, তাহলে সেই উপগ্রহ চিত্র প্রকৃত রঙে উপস্থাপিত হয়েছে বলা হয় । এই ধরনের চিত্রে নীল, সবুজ, লাল, তরঙ্গ রশ্মি ও তাদের সমন্বয়কে ব্যাবহার করে চিত্র প্রস্তুত করা হয় ।

ii) ছদ্ম রঙের ব্যাবহার :যদি প্রকৃত রঙের বদলে অন্য রং দ্বারা ভূ-পৃষ্ঠস্থ বস্তুগুলিকে উপগ্রহ চিত্রে দেখানো হয়, তাহলে চিত্রটিতে ছদ্ম রং ব্যাবহার করা হয়েছে বলা হয় । যেমন – উদ্ভিদের রং সবুজের পরিবর্তে লাল বা লালচে রঙে প্রকাশ করা হয় ।

  1. ভূ-বৈচিত্রসুচক মানচিত্রে ব্যাবহৃত বিভিন্ন ধরনের স্কেলগুলি কী ?

উঃ – ভূ-বৈচিত্রসুচক মানচিত্রে ব্যাবহৃত বিভিন্ন ধরনের স্কেল :ভারতীয় সর্বেক্ষন বিভাগ সমগ্র দেশকে স্কেল অনুসারে তিনটি স্তরে ভাগ করেছে । এগুলি হল –

i) বৃহৎ স্কেলে বিভাগ :– ভারতিয় উপমহাদেশেকে প্রথম পর্যায় 4° অক্ষরেখা এবং 4° দ্রাঘিমা রেখার ভিত্তিতে 135 টি গ্রিডে ভাগ করা হয়েছে । এই মানচিত্রের স্কেল হল 1 cm to 10 km । এই মানচিত্র গুলিকে মিলিয়ন শিট বলে ।

ii) মাঝারি স্কেলে বিভাগ :– দ্বিতীয় পর্যায়ে 4° × 4° র প্রত্যেকটি গ্রিডকে 1° × 1° হিসেবে সমান 16 গ্রিডে ভাগ করে ইংরেজি A থেকে P পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে । এই সব মানচিত্রের স্কেল হয় 1 cm to 2.5 km । এদের ডিগ্রি শিট বলে ।

iii) ক্ষুদ্র স্কেলে বিভাগ :– তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি 1° × 1° শিটকে 15× 15হিসেবে সমান 16 টি ভাগে ভাগ করে 1 থেকে 16 পর্যন্ত ক্রমিক সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে । এগুলি ইঞ্চি শিট নামে পরিচিত । এই মানচিত্রের স্কেল হয় 2 to 1 km.

ভূ-বৈচিত্র্যসুচক মানচিত্রে ব্যাবহৃত স্কেল্গুলি নিচে দেখানো হল

শিটের নাম

        R.F    FPS স্কেল   CGS স্কেল বিস্তার অক্ষাংস X দ্রাঘিমা

মানচিত্রের উদাহরন

মিলিয়ন শিট 1 : 1000000 1 inch to 16 mile 1 cm to 10 km    1° × 1° 73
ডিগ্রি শিট/ সিকি ইঞ্চি 1 : 250000 1 inch to 4 mile 1 cm to 2.5 km    1° × 1° 73H ( A থেকে p )
 ½ inch শিট/ অর্ধ ডিগ্রিশিট 1 : 100000 1 inch to 2 mile 1 cm to 1 km     30′ × 30′ 73 H/NE ( 4 সমান ভাগে বিভক্ত )
ইঞ্চিশিট 1 : 50000 1 inch to 1 mile 2 cm to 1 km     15′ × 15′ 73 H/14 (1 -16 এর মধ্যে)
বিশেষ বা special sheet 1 : 25000       _ 4 cm to 10 km   5′ × 7′ 30” বা  7’30” 73 H/14/5   বা

73H/14/3w

  1. উপগ্রহ চিত্রে ছদ্ম রং ব্যাবহার করা হয় কেন ?

উঃ – উপগ্রহ চিত্রে ছদ্ম রং ব্যাবহার করার কারন :

i) বিভিন্ন বস্তু পৃথক করা :ভুপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু বা উপাদানকে আলাদা ভাবে বোঝানো যায় ।

ii) চিত্র নিখুঁত করা :উপগ্রহ চিত্র নিখুঁত করা যায় ।

iii) তথ্য গোপন রাখা :– ছদ্ম রং ব্যাবহার করে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ স্থান সংক্রান্ত তথ্য এবং সেনাবাহিনীর নানা কাজ সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা যায় ।

  1. EMR :- সৌরশক্তির বিকিরণকে তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরন বা Electro Magnetic Rediation বলা হয় ।
    দুর সংবেদন ব্যাবস্থায় EMR কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন উপাদানের তথ্য সংগ্রহ করা হয় ।
  1. EMS :- সূর্য থেকে বিকিরিত আলোক রশ্মি তরঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে । এই তরঙ্গ যখন আলোক বর্ণালীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে রচনা করে । তাকে তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালী বা Electro Magnatic Sepetrum বলে ।
  2. TCC :- TCC কথার অর্থ হল “True Colour Composite’’ উপগ্রহ চিত্রে প্রকৃত রং দেখানোর জন্য নীল বস্তু নীল ব্যান্ডে, লাল বস্তু লাল ব্যান্ডে, সবুজ বস্তু সবুজ ব্যান্ডে দেখানো হয় – একে TCC বলা হয় ।
  3. Band :- সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ রশ্মির তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের একটি ক্ষুদ্রতম অংশকে Band বলে । যেমন- দৃশ্যমান 0.4 – 0.5 মাইক্রোমিটার পর্যন্ত নীল ব্যান্ড, 0.5 – 0.6 মাইক্রোমিটার পর্যন্ত সবুজ ব্যান্ড এবং 0.6 – 0.7 মাইক্রোমিটার পর্যন্ত লাল ব্যান্ড নামে পরিচিত ।
  4. পিক্সেল (Pixel) :ডিজিটাল আলোকচিত্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশকে পিক্সেল বলে । অর্থাৎ Pixel = Picture + Element.

বৈশিষ্ট্য :i) Pixel এর একটি নির্দিষ্ট মান এবং ঠিকানা থাকে ।

যেমন – অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, স্তম্ভ থাকে ।

ii) এক একটি Pixel ভূপৃষ্ঠের এক নির্দিষ্ট অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে ।

  1. Sensor :- উপগ্রহ থেকে ভূ-পৃষ্ঠের বিকিরিত তাপ অনুসারেও বিশেষ পদ্ধতিতে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে সাংকেতিক নাম ব্যাবহার করো ছবি নেওয়া যায় । যে যন্ত্র এই কাজে ব্যাবহার করা হয়, তাকে সেন্সর বলে । যেমন- LISS, PAN, WIFS, OCM, MSMR ইত্যাদি ।
  2. সক্রিয় সেন্সর ও নিস্ক্রিয় সেন্সর এর মধ্যে পার্থক্য :

বিষয়

সক্রিয় সেন্সর               

নিস্ক্রিয় সেন্সর

সংজ্ঞা যে সেন্সর সৌরশক্তি বা সূর্যের রশ্মির উপর নির্ভর না করে নিজ দেহ থেকে বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ পাঠিয়ে তার প্রতিফলনের সাহায্যে প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ করে তাকে সক্রিয় সেন্সর বলে । যে সেন্সর সূর্যের প্রতিফলনের উপর নির্ভর করে তথ্যসংগ্রহ করে, তাদের নিস্ক্রিয় সেন্সর বলে ।
বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ নিজস্ব বা নিজদেহ থেকে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ আছে । তাদের কোনো নিজস্ব বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ নেই ।
তথ্যসংগ্রহ এর সময় এরা সবসময় তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম । এরা শুধু মাত্র সূর্যের আলোতে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম ।
উদাহরন Radar, Active Radiometer ইত্যাদি । Photographic, camera, Electronic Camera ইত্যাদি ।
  1. প্ল্যাটফর্ম :যে নির্দিষ্ট স্থান থেকে ভূপৃষ্ঠের তথ্য সংগ্রহ বা চিত্র তোলা হয়, তাকে প্ল্যাটফর্ম বলে । বায়ুস্তরে 160 km উচ্চতার মধ্যে বিমান, বেলুন এবং মহাকাশ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ তথ্য সংগ্রহ করে ।
  2. সোয়াথ :কৃত্রিম উপগ্রহ আড়াআড়ি ভাবে নির্দিষ্ট অক্ষ বরাবর যে মোট দূরত্ব বেষ্টন করে তথ্য সংগ্রহ করে, তাকে সোয়াথ বলে । ল্যান্ড স্যাট -এর সোয়াথ হল 185 Km.
  3. ভারতের প্রথম উপগ্রহআর্যভট্ট ।
  4. ভারতীয় দূরসংবেদনএর জনক – পিসারথ রামা পিসারতী।
  5. স্যাটেলাইটের অর্থ – প্রহরী ।
  6. ভারতীয় সর্বেক্ষন বিভাগ :– ভারতে Survey of India টপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ প্রস্তুত ও প্রকাশ করে । 1767 সালে এটি স্থাপিত হয় । এর প্রধান কার্যালয় দেরাদুন-এ অবস্থিত । কলকাতার উড় স্ট্রিট-এ এর শাখা কার্যালয় আছে ।
  7. R.F শব্দের পুরো কথাRepresentative Fraction.
  8. ISRO – Indian Space Research Organisation.
  9. পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সঠিক অবস্থান নির্নয়ের জন্য ভারতে ব্যাবহার করা হয় IRNSS ( Indian Regional Navigation Satellite System) উপগ্রহ।
  10. ফ্লাইং হাইট :যতটা উচ্চতা থেকে এরিয়াল ফটোগ্রাফি তোলা হয়, তাকে ফ্লাইং হাইট বলে । সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে বিমানের উচ্চতা মাপা হয় ।
  11. ফটোগ্রামিতি :– আকাশ থেকে আলোক চিত্র সংগ্রহ করে তার বিচার বিবেচনা করে মানচিত্র বা ম্যাগাজিন হিসেবে প্রকাশ করাকে ফটোগ্রামিতি বলে ।
  12. পৃথিবীর ক্ষেত্রে মুক্তি বেগ 11.2 km/sec.
  13. সূর্যের ক্ষেত্রে মুক্তি বেগ – 617 km/sec.
  14. DGPS – Differention Global Positioning System এর ব্যাবহার বিভিন্ন ত্রুটি হ্রাস করার জন্যে করা হয় ।
1 1 vote
Article Rating
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments