ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (অধ্যায় ৫.৬)
Published 21-04-26
1042 Views
Md. Monjujul Alam
Geography Tutor
Dist : Murshidabad

ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ

  1. ভারতের সর্বাধিক বিস্তৃত অরণ্য অঞ্চল

Ans. ক্রান্তীয় আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য ।

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য

Ans. পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন ।

  1. ভারতের সর্বাপেক্ষা অরণ্য আবৃত অঞ্চল

Ans.  উপদ্বীপীয় মালভূমি পাহাড় (57%) ।

  1. অরণ্য আচ্ছাদনে ভারতের প্রথম রাজ্য –

Ans. মধ্যপ্রদেশ ।

  1. চিরসবুজ গাছের নাম

Ans.   শিশু, গর্জন, তুন ।

  1. ভারতের সর্বাপেক্ষা কম অরণ্য সমৃদ্ধ রাজ্য –

Ans. পাঞ্জাব।

  1. পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমঢালের অরণ্য

Ans. চিরহরিৎ বা চিরসবুজ অরণ্য ।

  1. পর্ণমোচী বৃক্ষ

Ans. শাল, সেগুন, পলাশ, শিশির, কুসুম, মহুয়া প্রভৃতি ।

  1. ভারতের প্রধান অরণ্য গবেষণা কেন্দ্র

Ans. উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে (FRI – Forest Research Institute) ।

  1. ভারতের সামাজিক বনসৃজন গবেষণা কেন্দ্র

Ans. উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে ।

  1. বিশ্ব অরণ্য দিবস

Ans. 21 শে মার্চ ।

  1. জাতীয় অরণ্য সপ্তাহ

Ans. 8 – 14 জুলাই ।

  1. বিশ্ব পরিবেশ দিবস

Ans. 5 জুন ।

  1. ভারতের বনভূমি সংরক্ষণ আইন

Ans. 1980 খ্রিঃ ।

  1. ভারতের জাতীয় বননীতি

Ans. 1952 খ্রিঃ ।

  1. ভারতের প্রথম বননীতি গৃহীত হয়

Ans. 1894 সালেস।

  1. JFM

Ans. Joint Forest Management. জনগণ, সরকার ও বেসরকারি সহোযোগিতায় অরণ্য সংরক্ষণকে JFM বলে ।

  1. সিলভি কালচার

Ans. গাছের গুনগত মান বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে সিলভি কালচার বলে ।

  1. মেসোফাইট

Ans. উষ্ণ – আর্দ্র জলবায়ুর বড়ো গাছ ।

  1. জেরোফাইট

Ans. শুস্ক উষ্ণ অঞ্চলের কাঁটা জাতীয় উদ্ভিদ ।

  1. হ্যালোফাইট

Ans. লবণাত্মক অঞ্চলের উদ্ভিদ ।

  1. ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ

Ans. বদ্বীপ অঞ্চলে লবণাত্মক পরিবেশে জন্মানো উদ্ভিদ ।

  1. ঠেসমূল

Ans. ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কান্ডকে ধরে রাখার জন্য মূল ।

  1. শ্বাসমূল

Ans. ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের  শ্বাসকার্য চালানোর জন্য মূল ।

  1. অধিমূল

Ans. কিছু উদ্ভিদের কাণ্ডের নিম্নাংশে চ্যাপ্টা তক্তার মতো অস্থানিক মূল বেরোয়, একে অধিমূল বলে ।

  1. শুস্ক পর্ণমোচী

Ans. সাধারণত ঘাস, গুল্ম এবং ছোটো ছোটো পাতা ঝরা গাছকে একসঙ্গে বলে শুস্ক পর্ণমোচী ।

  1. ভারতের পর্ণমোচী অরণ্যের অপর নাম

Ans. মৌসুমি অরণ্য ।

  1. সরলবর্গীয় উদ্ভিদ

Ans. পাইন, ফার, দেবদারু ইত্যাদি ।

  1. আল্পীয় অরণ্যের বৃক্ষ

Ans. জুনিপার, রডোডেনড্রন, নাকসভমিক্যা ।

  1. চিনি সিরাপ তৈরী হয়

Ans. ম্যাপল গাছের রস থেকে ।

  1. স্বাভাবিক উদ্ভিদের নিয়ন্ত্রকগুলি

Ans. ভূপ্রাকৃতিক, জলবায়ু ও মৃত্তিকা ।

  1. ভারতের শঙ্কু আকৃতির উদ্ভিদ

Ans. সরলবর্গীয় এবং আল্পীয় অরণ্যের উদ্ভিদ ।

  1. ভারতের সাভানা অঞ্চল বলা হয়

Ans. শুস্ক পর্ণমোচী অরণ্যেকে ।

  1. ভারতের সর্বপ্রথম বনমহোৎসব পালন করে

Ans. ড: কানাইয়ালাল মানিকলাল মুনশি ।

  1. ভারতীয় অরণ্যের প্রথম শ্রেণিবিভাগ করেন

Ans. আবহবিজ্ঞানী চ্যাম্পিয়ন ।

  1. উদ্ভিদ রেখা

Ans. যে কাল্পনিক রেখার উপর কোনো গাছ জন্মায় না, তাকে উদ্ভিদ রেখা বলে ।

  1. স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী ?

Ans. স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তাগুলি হল –

(i) বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের সমতা বজায় রাখে ।

(ii) ভূমিক্ষয় নিবারণ করে ।

(iii) মরুভূমির প্রসার রোধ করে ।

(iv) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়ায় ।

(v) মোম, মধু, কাঠ ও ভেষজ দ্রব্য পাওয়া যায় ।

(vi) জীবজগতের ভারসাম্য বজায় রাখে ।

(vii) মৃত্তিকার উর্বরতা শক্তি বজায় রাখে ।

  1. স্বাভাবিক উদ্ভিদ কাকে বলে ?

Ans. যে সমস্ত গাছ বা উদ্ভিদ কোনো স্থানের জলবায়ু ও মৃত্তিকাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই জন্মায় ও বড়ো হয়, তাদের ওই স্থানের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলা হয় ।

  1. ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ কর ।

Ans. ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয় । যথা –

(i) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য

(ii) ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য

(iii) ক্রান্তীয় মরু  উদ্ভিদ

(iv) পার্বত্য উদ্ভিদ

(v) ম্যানগ্রোভ অরণ্য ।

  1. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদ চিরসবুজ কেন ?

Ans. চিরহরিৎ অরণ্য অঞ্চলের গাছের পাতা শুকনো ধাতুতেও ঝরে পড়ে না । বেশি বৃষ্টির জন্য মাটি সব সময় ভিজে থাকে বলে গাছের কখনও জলের অভাব হয় না । এই কারণে গাছ সবসময় সবুজ পাতাতে ভরে থাকায় গাছগুলি চিরসবুজ বা চিরহরিৎ ।

  1. সামাজিক বনসৃজন কৃষি বনসৃজনের মধ্যে পার্থক্য লেখ ?

Ans.

বিষয়

সামাজিক বনসৃজন

কৃষি বনসৃজন

i) সংজ্ঞা অরণ্য সীমার বাহিরে পতিত, পরিত্যক্ত, অনাবাদি জমিতে স্থানীয় স্বায়ত শাসিত সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণ জনসাধারণের যৌথ বা একক প্রচেষ্টায় বৃক্ষ রোপনকে সামাজিক বনসৃজন বলে । কৃষক দ্বারা তার নিজস্ব অধিকার ভুক্ত কৃষি জমি বা পতিত জমিতে কৃষিকাজের সঙ্গে কাঠ, সবুজ সার, ভেষজ দ্রব্য, ফলমূল আরোহনের জন্য বৃক্ষ রোপন করে বনসৃজন করাকে কৃষি বনসৃজন বলে ।
ii) উদ্যোগ স্ব-শাসিত বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে চলে । কৃষকের নিজস্ব উদ্দোগ্যে চলে ।
iii) জমি মূলত সরকারি পতিত, অব্যবহৃত জমিতে এই বনসৃজন হয় । কৃষকের নিজস্ব পতিত অব্যবহৃত জমিতে এই বনসৃজন হয় ।
iv) উদ্দেশ্য গ্রামবাসীদের নানান চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে এই বনসৃজন করা হয় । কৃষকের ব্যাক্তিগত স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বনসৃজন করা হয় ।
v) স্থান সমূহ পতিত জমি, রেললাইন, ও সড়ক পথের দুপাশের জমি, নদী ও খালের পাড়, ধর্মস্থল, শিক্ষাক্ষেত্র, অফিস আদালতের উন্মুক্ত স্থান । জমির আল বা বাঁধ, পতিত জমি, বাড়ির ফাঁকা স্থান, পুকুর পাড়, বাড়ির উঠোন, বাগান ।
 vi) উদ্ভিদ ইউক্যালিপটাস, আকাশমুনি, ক্যাসুরিনা, নিম, কাঠভুজ, করমচা, বাবুল, উতিস, সুবাবুল, ইত্যাদি । সোনাঝুড়ি, নিম, কদম, শাল, শিশু, মেহগিনি, কলা, লেবু, কুল, কাঁঠাল, বাসক, নয়নতারা, ইত্যাদি ।
  1. অরণ্য সংরক্ষণ বলতে কী বোঝো ? এর পদ্ধতিগুলি কী কী ?

Ans. অরণ্য সংরক্ষণ :- অরণ্য সঠিকভাবে প্রয়োজনমতো বিজ্ঞান সম্মত ব্যাবহার করা, সুরক্ষিত রাখা, বৃক্ষ সৃজন করা, বনভূমির ক্ষেত্রমান বজায় রাখা ও বনভূমির পুনর্বীকরণ করাকে অরণ্য সংরক্ষন বলে ।

অরণ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি :-

(i) অপরিণত বৃক্ষছেদন হ্রাস :- অপরিণত গাছ কাটার পরিবর্তে পরিণত গাছ কাটা উচিত । অপরিণত গাছ থেকে কম পরিমান কাঠ পাওয়া যায় ।

(ii) অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বৃক্ষছেদন রোধ :- বর্তমানে জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধির জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের জোগান, বিভিন্ন নির্মাণ, শিল্পস্থাপন ইত্যাদি নানা কারণে বৃক্ষছেদন করা হয় । এই বৃক্ষছেদন রোধ করতে হবে ।

(iii) দাবানল প্রতিরোধ :- মনুষ্য সৃষ্ট বা প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট দাবানল থেকে বনভূমি রক্ষা করার জন্য শুকনো ডালপাতা, পাতা ও আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন ।

(iv) কাঠের জ্বালানির পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি :- অনুন্নত ও দরিদ্র দেশে কাঠকে জ্বালানি রূপে ব্যবহার না করে. কাঠের পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে ।

(v) বনসৃজন পূর্ণবনসৃজন :- বৃক্ষছেদনের পর সেই স্থানে এবং অন্যান্য পতিত জমিতে বিশেষ যে সব জমি চাষের পক্ষে অনুপযুক্ত সেই সব জমিতে বৃক্ষরোপন করে বনভূমি গড়ে তোলা দরকার ।

3.8 5 votes
Article Rating
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments