ভারতের জলবায়ু
- ভারতের জলবায়ুর প্রকৃতি –
Ans. ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু ।
- ভারতের প্রধান প্রধান ঋতু –
Ans. চারটি – গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত ।
- কালবৈশাখী –
গরমকালে পশ্চিমবঙ্গে বিকালে বা সন্ধ্যার দিকে প্রচন্ড বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত ।
- আসামে কালবৈশাখীর নাম –
Ans. বরদৈছিলা
- দক্ষিণ ভারতে কালবৈশাখীর নাম –
Ans. আম্রবৃষ্টি
- মৌসুমি নামের উৎপত্তি –
Ans. মৌসিন আরবি শব্দের অর্থ হল ঋতু ।
- মৌসুমি বিস্ফোরণ –
Ans. বর্ষার শুরুতে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের নাম ।
- পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান –
Ans. মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির নিকট মৌসিনরাম ।
- ভারতের সর্বপ্রথম মৌসুমি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল –
Ans. কেরালা (1 জুন)
- ভারতের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল –
Ans. (i) মেঘালয় রাজধানীর শিলং;
(ii) পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢাল (ব্যাবচ্ছিন্ন) ।
- ভারতের শুষ্কতম স্থান –
Ans. রাজস্থানের বালান ।
- বছরে দুবার বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল –
Ans. (i) পাঞ্জাব হরিয়ানা,
(2) করমণ্ডল উপকূল ।
- ভারতের সর্বাপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল –
Ans. জয়সলমির (বার্ষিক 12 cm)
- ভারতের উষ্ণতম স্থান –
Ans. ব্রিয়া ওয়ালি, বিকানির জেলা (রাজস্থান) 156°C
- ভারতের শীতলতম অঞ্চল –
Ans. জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ ।
- ভারতের শুষ্কতম অঞ্চল –
Ans. রাজস্থানের জয়সলমির ।
- জলবায়ু –
Ans. কোনো স্থানের অনেক দিনের আবহাওয়ার গড়কে বলা হয় জলবায়ু ।
- উত্তর ভারতের জলবায়ু –
Ans. চরমভাবাপন্ন ।
- দক্ষিণ ভারতের জলবায়ু –
Ans. সমভাবাপন্ন ।
- ভারতের একটি স্থানীয় বায়ু –
Ans. লু ।
- আশ্বিনের ঝড় –
Ans. শরৎকালে প্রত্যাবর্তনকারী শুস্ক মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে আর্দ্র সামুদ্রিক বায়ুর সংঘর্ষের ফলে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়ে পূর্ব উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয় । এটি আশ্বিনের ঝড় নামে পরিচিত ।
- পশ্চিমি ঝঞ্জা –
Ans. শীতকালে ভুমধ্যসাগর থেকে আগত মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত একটানা কয়েকদিন ধরে উত্তর-পশ্চিম ভারতে মেঘলা আকাশ ও হালকা ঝড়বৃষ্টি ঘটায় । এটি পশ্চিমি ঝঞ্জা নামে পরিচিত ।
- হিমালয় পর্বতমালা ভারতের জলবায়ুকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে ?
Ans. হিমালয় পর্বতের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব :-
(i) শীতের হাত থেকে রক্ষা :- হিমালয় পর্বতের অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশকে মধ্য এশিয়ার হাড় কাঁপানো শীতের হাত থেকে রক্ষা করে ।
(ii) প্রবল বৃষ্টিপাত :- হিমালয় পর্বতের অবস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় ।
- দক্ষিণ ভারতের উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল হল –
Ans. মালনাদ ।
- কর্নাটকে আম্রবৃষ্টি –
Ans. চেরি ব্লসম (Cheery Blossom) নামে পরিচিত ।
- এল নিনো –এর অর্থ –
Ans. শিশু খ্রিস্ট ।
- ভারতের সর্বাধিক খরা প্রবন রাজ্য –
Ans. রাজস্থান ।
- ভারতের বন্যাপ্রবণ অঞ্চল –
Ans. উত্তর প্রদেশ ।
- আবহাওয়া –
Ans. কোনো স্থানের বায়ুমণ্ডলের স্বল্পকালীন অবস্থাকে আবহাওয়া বলে ।
- কালবৈশাখীর অপর নাম –
Ans. নরওয়েস্টার ।
- খরা –
Ans. স্বল্প বৃষ্টিপাত জনিত কারণে পরিবেশে যে জলবায়ুগত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাকে খরা বলে ।
- আঁধি –
Ans. একটি তীব্র, ঝোড়ো, ধূলিপূর্ণ বায়ু ।
- ক্রান্তীয় জেট বায়ুর অপর নাম –
Ans. পূবালি জেট ।
- ভারতকে বলা হয় –
Ans. মৌসুমী বায়ুর বিচরণ ক্ষেত্র ।
- ভারতের মৌসুমি বায়ুর শাখা দুটি হল –
Ans. (i) আরব সাগরীয় শাখা
(ii) বঙ্গোপসাগরীয় শাখা ।
- ভারতে বর্ষাকালের অপর নাম –
Ans. দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন কাল ।
- ভারতে শরৎকালের অপর নাম –
Ans. দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তন কাল ।
- স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর বৃহৎ সংরক্ষণ বলা হয় –
Ans. মৌসুমী বায়ু প্রবাহকে ।
- ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন –
Ans. শরৎকালে উপকূলীয় অঞ্চলে যে ঘূর্ণবাত জনিত ঝড় হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলে ।
- শুস্ক অঞ্চল –
Ans. যে সমস্ত অঞ্চলে 20 cm -এর কম বৃষ্টিপাত হয়, তাকে শুস্ক অঞ্চল বলে ।
- ভারতের জলবায়ুকে মৌসুমি বায়ু কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ?
Ans. ভারতের জলবায়ুকে মৌসুমি বায়ু নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে । যেমন –
(i) মৌসুমী বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের ওপর নির্ভর করে ঋতু পরিবর্তন হয় ।
(ii) বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আগত আর্দ্র মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতের বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু শরৎকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রত্যাগমনের সময় কেবলমাত্র তামিলনাড়ু উপকূলে বৃষ্টিপাত হয় ।
(iii) মৌসুমি বায়ুর খামখেয়ালি প্রকৃতির জন্য কোনো বছর প্রবল বা কোনো বছর স্বল্প বৃষ্টিপাত হয় । ফলে বন্যা বা খরা হয় ।
(iv) শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু শীতল স্থলভাগ থেকে ছুটে আসে বলে ভারতের জলবায়ু শীতল ও শুস্ক থাকে ।
(v) মৌসুমি বায়ুর আগমনে সারা দেশের গড় তাপমাত্রা 5°C – 10°C কমে যায় ।
- লু কাকে বলে ?
Ans. লু :- গ্রীষ্মকালে মে-জুন মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থান, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ, বিহারে তীব্র সূর্য কিরণের জন্য একপ্রকার উষ্ণ ও শুস্ক বায়ু দুপুরের পর পশ্চিম দিক থেকে শোঁ শোঁ শব্দ করে প্রচন্ড বেগে প্রবাহিত হয়, একে লু বলে । এটি একপ্রকার তাপ প্রবাহ উষ্ণতা 45°C – 50°C হয় । শরীরের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যায়, একে ‘লু-লাগা’ বলে । প্রতিবছর বহু মানুষ ও গবাদি পশু মারা যায় ।
- আঁধি কাকে বলে ?
Ans. আঁধি :- গ্রীষ্মকালে মে-জুন মাসে রাজস্থানের মরু সংলগ্ন অঞ্চলে বিকেলে যে প্রবল ধূলিঝড় সৃষ্টি হয়, তাকে স্থানীয় ভাষায় আঁধি বলে । এর গতিবেগ 50 – 60 কিমি/ঘন্টা । এতে মেঘ সৃষ্টি ও বৃষ্টি হয় না । প্রচুর ধুলো উড়ে । উষ্ণতা কমে ।
- মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে ?
Ans. জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বা গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা প্রচুর পরিমানে জলীয় বাস্প বহন করে এনে পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে আছড়ে পড়ে হঠাৎ প্রচন্ডভাবে ঘনমেঘ, ধমকা বায়ুসহ বজ্রঝড় ও মুষলধারে বর্ষণের আবির্ভাব ঘটে, একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে । পশ্চিমা জেট বায়ু উত্তরে সরে গিয়ে ক্রান্তীয় ভারতে পুবালি জেট শক্তিশালী হয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটে ।
- ভারতের জলবায়ুর বৈচিত্র্য আলোচনা কর ।
Ans. ভারত এক বিশাল দেশ । যার দক্ষিণ থেকে উত্তরে ব্যবধান বেশি । উপকূল থেকে পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির উচ্চতার পার্থক্যও বেশি । এই সব কারণে ভারতে জলবায়ুর বৈচিত্র্যও অধিক । যেমন –
(i) উষ্ণতার বৈচিত্র্য :- ভারতের সর্বত্র উষ্ণতা সমান নয় । উপকূল অংশে সারাবছর সমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় । মধ্য ভারতে সারাবছর চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে । আবার হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায় ।
(ii) বৃষ্টিপাতের বৈচিত্র্য :- ভারতে গড় বৃষ্টিপাত 100 – 1500 সেমি. হলেও রাজস্থানের গড় বৃষ্টিপাত 50 সেমির কম । আবার মেঘালয়ের মৌসিনরামে (ভারতে তথা পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থান) বৃষ্টির বার্ষিক পরিমান 1350 সেমি. |
(iii) বায়ুপ্রবাহের বৈচিত্র্য :- ভারতে মার্চ-আগস্ট মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় । আবার ভারতে শুষ্ক ও উষ্ণ বায়ু লু, ধূলিঝড়, আঁধি, স্থানীয় বায়ু প্রবাহিত হয় ।
(iv) জলবায়ুর সামগ্রিক বৈচিত্র্য :- ভারতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও মেঘালয়ে নিরক্ষীয় জলবায়ু, জম্মু ও কাশ্মীরে শীতল জলবায়ু, রাজস্থানে মরু জলবায়ু ও পাঞ্জাব হরিয়ানাতে নাতিশীতোষ্ণ জুলবায়ু দেখা যায় ।
- সাময়িক বায়ু কাকে বলে ?
Ans. মৌসুমি একটি আরবি শব্দ মৌসিন থেকে এসেছে । যার অর্থ ঋতু। নির্দিষ্ট ঋতু বা সময়ে সময়ে এই বায়ু প্রবাহিত হয় । তাই একে ঋতু বায়ু বা সাময়িক বায়ু বলে । এই বায়ু ভারতের জলবায়ুকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে । যেমন – ঋতু নিযন্ত্রন ।
- জেট বায়ু প্রবাহ ভারতের জলবায়ুকে কীভাবে প্রভাবিত করে ?
Ans. ভুপৃষ্ট থেকে 9 – 12 কিমি. উচ্চতায় খুব শক্তিশালী এক বায়ুপ্রবাহ ঘটে । এই বায়ুপ্রবাহ আঁকাবাঁকা গতিপথে বা জেটপ্লেনের গতিপথে প্রবাহিত হয় । তাই একে জেট বায়ুপ্রবাহ বলে । এই জেট বায়ুপ্রবাহ ভারতের মৌসুমি বায়ু ও জলবায়ুকে প্রভাবিত করে । যেমন –
(i) গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে সম্পর্ক :-
গ্রীষ্মকালে ভারতের ওপর অবস্থানকারী উপক্রান্তীয় জেট বায়ু উত্তরে সরে যায় । আর তখনই ভারতে ক্রান্তীয় পূবালি বায়ুর আগমন ঘটে ও এর সঙ্গে মৌসুমি বায়ু আসে । ফলে ভারতে প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিপাত (যা মৌসুমি বিস্ফোরণ নামে পরিচিত) শুরু হয় ।
(ii) শীতকালীন মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে সম্পর্ক :-
শীতকালে ভারতে উপমহাদেশ অঞ্চলে উপক্রান্তীয় পশ্চিমি জেটবায়ু অবস্থানের কারণে এখানে উচ্চচাপ বিরাজ করে, ফলে উপমহাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাগমন করে । অর্থাৎ মৌসুমি বায়ু আগমন ও প্রত্যাগমনের সঙ্গে জেটবায়ু আন্তঃসম্পর্ক যুক্ত ।
- ভারতের মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর ।
Ans. ভারতের মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য :-
(i) মৌসুমি বায়ু গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয় ।
(ii) ভারতে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকালে শুষ্ক হয় ।
(iii) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে বর্ষাকালে সর্বাধিক পরিমান বৃষ্টি হয় । (90%)
(iv) উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল শুষ্ক থাকে । তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূল ছাড়া আর অন্য কোথাও বৃষ্টি হয় না ।
(v) পশ্চিমি ঝঞ্জা এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কিছুটা বৃষ্টি হয় ।
(vi) ভারতের মৌসুমি বৃষ্টিপাত একটানা হয় না । মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাতের বিরতি ঘটে ।
- ভারতের উল্লেখযোগ্য বায়ুপ্রবাহ ও তাদের আঞ্চলিক অবস্থান লেখ ?
Ans.
বায়ুপ্রবাহ | কোথায় দেখা যায় |
(i) আঁধি (Andhi) | উত্তর পশ্চিম ভারত বিশেষত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি । |
(ii) কালবৈশাখী (Norwester Blinding Storm) | পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা কালবৈশাখী (Kala Baisakhis) অসম বরদৈছিলা (Bardolichheela) |
(iii) আম্রবৃষ্টি (Mango Shorer) | দক্ষিণ ভারত কেরালা ও কর্ণাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চল তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ । |
(iv) কফিবৃষ্টি (Cherry Blossom) | কর্ণাটক |
(v) চা বৃষ্টি (Tea Shower) | অসম |
(vi) লু (Loo) | উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, পাঞ্জাব । |
(vii) আশ্বিনের ঝড় (Strom Of Aswin) | পশ্চিমবঙ্গের শরৎকাল |
- আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য লেখ ।
Ans.
বিষয় | আবহাওয়া | জলবায়ু |
(i) সংজ্ঞা | কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বায়ুমণ্ডলের কতগুলি উপাদানের অবস্থাকে আবহাওয়া বলে । | কোনো বিরাট অঞ্চলের 30-40 বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে । |
(ii) সময় | আবহাওয়া হল কোনো স্থানের বা দিনের বা কয়েক ঘন্টার অবস্থা । | জলবায়ু হল বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘকালীন অবস্থা । |
(iii) পরিবর্তন | কোনো স্থানের আবহাওয়া প্রত্যেকদিনই পরিবর্তন হয় । | জলবায়ু পরিবর্তন হয় ঋতুভেদে । |
(iv) স্থায়িত্ব | আবহাওয়া ক্ষণস্থায়ী | কোনো অঞ্চলের জলবায়ু বছরের পর বছর প্রায় একইরকম থাকে । |
(v) প্রভাব | আবহাওয়া মানুষের দৈনন্দিন কাজে প্রভাব বিস্তার করে । | জলবায়ু কোনো স্থানের মাটি, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান জীবনযাত্রার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে । |