ভারতের জলসম্পদ
- ভারতের দীর্ঘতম নদী –
Ans. গঙ্গা (2525 km)
- দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা –
Ans. গোদাবরী নদী
- ভারতের দীর্ঘতম উপনদী –
Ans. যমুনা নদী
- ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদী –
Ans. নর্মদা, তাপ্তি, মাহি, সবরমতী ইত্যাদি ।
- ভারতের পূর্ব বাহিনী নদী –
Ans. গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, সুবর্ণরেখা, মহানদী ইত্যাদি ।
- ভারতের অন্তর্বাহিনী নদী –
Ans. লুনি
- ভারতের জলবিভাজিকা সমূহ –
Ans. তিনটি –
(i) উত্তরের হিমালয় পর্বত
(ii) মধ্যভারতের বিন্ধ্য পর্বত
(iii) দক্ষিণের পশ্চিমঘাট পর্বত
- ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত –
Ans. গেরসোপ্পা বা যোগ বা মহাত্মা গান্ধি জলপ্রপাত (253 মি. সরাবতী নদী)
- ভারত তথা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী দ্বীপ –
Ans. ব্রহ্মপুত্রের মাজুলি দ্বীপ ।
- ভারত তথা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী খাত –
Ans. নামচাবারওয়ার সাংকো (ব্রহ্মপুত্র) ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম লবনাত্মক উপহ্রদ –
Ans. চিল্কা (উড়িশা) ।
- ভারতের বৃহত্তম হ্রদ –
Ans. উলার হ্রদ (জম্মু ও কাশ্মীর) ।
- ভারতের বৃহত্তম লবনাত্মক হ্রদ –
Ans. সম্বর হ্রদ (রাজস্থান) ।
- ভারতের দীর্ঘতম খাল –
Ans. উচ্চ গঙ্গা খাল (1412 km) ।
- পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম খাল –
Ans. মেদিনীপুর খাল (520 কিমি.) ।
- ভারতের উচ্চতম লবনাত্মক জলের হ্রদ –
Ans. জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলের প্যাংগং হ্রদ |
- ভারতের বৃহত্তম সেচ খাল –
Ans. ইন্দিরা গান্ধি খাল (649 km রাজস্থান) ।
- ভারতের বৃহত্তম স্বাদু জলের হ্রদ –
Ans. উলার হ্রদ ।
- ভারতের দীর্ঘতম বাঁধ –
Ans. হীরাকুঁদ বাঁধ (ওড়িশা 15 km) ।
- ভারতের উচ্চতম বাঁধ –
Ans. তেহরী বাঁধ (260 মিটার) ।
- নদীমাতৃক দেশ –
Ans. ভারতকে নদীমাতৃক দেশ বলে কারণ 14 টি বড়ো ও 44 টি মাঝারি নদী অববাহিকা সারা দেশকে সুপ্রাচীন কাল থেকে বিধৌত করে সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়েছে । সন্তান স্নেহে ভারতবাসীকে লালন পালন করছে । তাই ভারতকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয় ।
- উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি বিখ্যাত হ্রদ –
Ans. লোকটাক হ্রদ ।
- অন্তর্বাহিনী নদী :-
Ans. যে সমস্ত নদীর প্রবাহপথ কোনো দেশ বা মহাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ – অর্থাৎ যেসব নদী স্থলভাগের বাইরে কোনও সাগর বা জলভাগে না পড়ে স্থলভাগের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে পতিত হয় কিংবা স্থলভাগেই বিলীন হয়ে যায়, সেইসব নদীকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে ।
- জলসংরক্ষনের পদ্ধতি আলোচনা কর ?
Ans. বর্তমান ভারতে নানান পদ্ধতিতে জলসংরক্ষন করা হয়, যেমন –
(i) জল-বিভাজিকা উন্নয়ন :- জল-বিভাজিকা উন্নয়নের মাধ্যমে ভুপৃষ্টের জল কোনো জলাশয়ে সঞ্চিত রেখে তার মাধ্যমে নানান কাজকর্ম করা হয় । এর দ্বারা একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়, তেমনি অন্যদিকে ওই জল নানান অর্থনৈতিক কাজেও ব্যবহৃত হয় । বর্তমান ভারতের বিভিন্ন স্থানে জল-বিভাজিকা উন্নয়ন কল্পে নানান প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ।
(ii) বৃষ্টির জলসংরক্ষন :- বর্তমানে বৃষ্টির জল ধরে রেখে জল সংরক্ষন করার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে । বৃষ্টির জল প্রধানত দুই ভাবে ধরে রাখা যায়, যেমন –
(a) বাড়ির ছাদে জল সংরক্ষণ,
(b) ভুপৃষ্টের বিভিন্ন আধারে জলের সংরক্ষণ ।
এই দুই পদ্ধতিতে প্রধানত জলাশয় নির্মাণ করে জল সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে ।
- উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য লেখ ।
Ans.
বিষয় |
উত্তর ভারতের নদনদী |
দক্ষিণ ভারতের নদনদী |
(i) উৎপত্তি | অধিকাংশ নদীই হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়েছে । | পশ্চিমঘাট পর্বত ও মধ্য ভারতের উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে । |
(ii) বয়স | নদীগুলি বয়সে নবীন । | নদীগুলি বয়সে প্রাচীন । |
(iii) জলের উৎস | এরা বরফগলা জলে পুষ্ট । | এরা বৃষ্টির জলে পুষ্ট । |
(iv) দৈর্ঘ্য ও অববাহিকা | নদীগুলির দৈর্ঘ্য এবং অববাহিকা বেশ বড়ো । | নদীগুলির দৈর্ঘ্য এবং অববাহিকা খুব একটা বড়ো নয় । |
(v) বদ্বীপ | প্রায় প্রতিটি নদীতেই বদ্বীপ আছে । | কোনো কোনো নদীর বদ্বীপ আছে । |
(vi) নাব্যতা ও নৌ-পরিবহন | নাব্যতা বেশি ও নৌ-পরিবহনের উপযুক্ত । | নাব্যতা কম ও নৌ-পরিবহনের অনুপযুক্ত । |
- দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী কেন ?
Ans. দক্ষিণ ভারতের ভূমির ঢাল পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী ।
- দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি খরস্রোতা কেন ?
Ans. দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি কঠিন আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলাস্তর দ্বারা গঠিত প্রাচীন ও বন্ধুর মালভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত । উঁচু-নীচু বন্ধুর ভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ও নদীর ঢাল অত্যন্ত বেশি হওয়ায় এই দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি খরস্রোতা ।
- দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি চিরপ্রবাহী নয় কেন ?
Ans. দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি কেবলমাত্র বর্ষার জলে পুষ্ট । হিমবাহ বা বরফগলা জল এরা পায় না বলে নদীগুলিতে সারাবছর জল থাকে না । তাই এই নদীগুলি চিরপ্রবাহী নয় ।
- বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ?
Ans. যে নদী পরিকল্পনার সাহায্যে কোনো নদী উপত্যকার অধিবাসীদের সর্বাঙ্গীন আর্থসামাজিক বিকাশের জন্য নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে ও সংলগ্ন অঞ্চলে জলাশয় নির্মাণ করে নদী উপত্যকায় সেতু বন্ধন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জল পরিবহন, পানীয় জল সরবরাহ এবং মৎসচাষ প্রকল্প প্রভৃতি বহুমুখী উদ্দেশ্য সাধন করা হয়, তাকে ‘বহুমূখী নদী পরিকল্পনা’ বলে ।
- সেচ খাল সম্পর্কে আলোচনা কর ।
Ans. ভারতের নদী সম্মৃদ্ধ অঞ্চলে প্রায় 80% কৃষিজমিতে সেচ খালের সাহায্যে জলসেচ করা হয় । ভারতের খালগুলি প্রধানত দুই ধরণের । যথা –
(i) নিত্যবহ খাল :- ভারতে –
(a) উত্তর প্রদেশের গঙ্গা ও যমুনা নদীর মধ্যবর্তী স্থান ।
(b) রাজস্থানের গঙ্গা নগর জেলা ।
(c) পশ্চিম পাঞ্জাব সমভূমি এবং
(d) পশ্চিমবঙ্গের দামোদর উপত্যকায় প্রধানত নিত্যবহ সেচখাল দেখা যায় ।
(ii) অনিত্যবহ খাল বা প্লাবন খাল :- প্লাবন খাল সাধারণত বর্ষার প্লাবনে জলপূর্ণ হয় । ভারতে প্লাবন খাল দ্বারা সেচ প্লাবিত অঞ্চলগুলি হল –
(a) ওড়িশার মহানদী বদ্বীপ,
(b) তামিলনাড়ুর কাবেরী বদ্বীপ,
(c) অন্ধপ্রদেশের গোদাবরী-কৃষ্ণা বদ্বীপ ইত্যাদি ।
- ভৌমজল কাকে বলে ? এর অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার প্রভাব লেখ ।
Ans. ভৌমজল :- সাধারণভাবে যে জল ভূগর্ভে পাওয়া যায়, তাকে ভৌমজল বলে । ভৌমজল সাধারণত দূষণমুক্ত, তাই সেচের কাজে ভৌমজলের উপযোগিতা অনস্বীকার্য |
ব্যবহার ও প্রভাব :- বর্তমানে নানান কাজের জন্য ভৌমজল এত বেশি পরিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে ভৌমজলের ভান্ডার শেষ হয়ে যাবে । তাই বর্তমানে নানান বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে ভৌমজলের ভান্ডার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে ।
- ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বহুমুখী নদী পরিকল্পনার নাম লেখ ।
Ans. ভারতের উল্লেখযোগ্য বহুমুখী নদী পরিকল্পনাগুলি হল –
(i) দামোদর নদী পরিকল্পনা
(ii) ভাকরা-নাঙ্গাল পরিকল্পনা
(iii) মহানদী প্রকল্প
(iv) ময়ূরাক্ষী প্রকল্প
(v) কংসাবতী প্রকল্প
(vi) তিস্তা প্রকল্প
(vii) নাগার্জুন সাগর প্রকল্প
(viii) তুঙ্গভদ্রা প্রকল্প
(ix) কোশী প্রকল্প
(x) চম্বল প্রকল্প
(xi) রামগঙ্গা প্রকল্প
- জল সংরক্ষণের গুরুত্ব লেখ ।
Ans. গুরুত্ব :-
(i) প্রাকৃতিক উপায়ে জল সংরক্ষণ করলে খরচ কম হয় |
(ii) জল হল সম্পদ । তাই সম্পদকে সংরক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় |
(iii) জলসংরক্ষন করলে চাষের সুবিধা হয় |
(iv) বাঁধ দিয়ে জল সংরক্ষণ করলে তা জলসেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হয় ।
(v) বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও জল সংরক্ষণ প্রয়োজন ।
- বহুমুখী নদী পরিকল্পনার উদ্দেশ্য লেখ ।
Ans. উদ্দেশ্য :- বহুমুখী নদী পরিকল্পনার মাধ্যমে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য সাধন করা হয়, যথা :-
(i) টারবাইনের সাহায্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ।
(ii) কৃত্রিম হ্রদে মৎসচাষ করা হয় ।
(iii) পানীয় জল সরবরাহ করা হয় ।
(iv) বাঁধগুলো নদীর ওপর সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
(v) বিভিন্ন জলাশয়, খাল প্রভৃতির সাহায্যে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় ।
- দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন সম্পর্কে যা জানো লেখ ।
Ans. অবস্থান :- দামোদর নদী পরিকল্পনা ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বহুমুখী পরিকল্পনা । ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 24,235 বর্গকিমি. স্থান জুড়ে এই DVC গড়ে উঠেছে ।
গড়ে ওঠার কারণ :- দুঃখের নদ বলে পরিচিত দামোদর নদীর বন্যার প্রকোপে বহু লোকের জীবন ও সম্পত্তিহানি ঘটত । 1948 সালে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের টেনেসি ভ্যালি অথরিটি অনুকরণে DVC তত্ত্বাবধানে ডব্লু এল ভর ডুইন এই প্রকল্পটি রচনা করেন ও 1955 সালে প্রকল্পটি শেষ হয় ।
উদ্দেশ্য :- এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলি হল –
(i) বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা ।
(ii) জলসেচ ব্যবস্থা গ্রহণ ।
(iii) বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ।
(iv) জলপথ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ।
(v) শিল্পকেন্দ্রে জল ও বিদ্যুতের জোগান ।
(vi) নিকটবর্তী বাড়িতে জল সরবরাহ করা ।
(ix) অরণ্য সৃজন ও মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ করা এবং সর্বোপরি ।
(x) দামোদর উপত্যকা অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নতি ঘটানো ।
উপকৃত অঞ্চল :- পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, পুরুলিয়া, হাওড়া প্রভৃতি জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ, পালামৌ, রাঁচি, ধানবাদ, সাঁওতাল প্রভৃতি শিল্প অঞ্চল হল DVC দ্বারা উপকৃত ।
- গঙ্গা নদীর উৎস ও গতিপথ বর্ণনা কর ।
Ans. গঙ্গা ভারতের প্রধান ও দীর্ঘতম নদী । এর মোট দীর্ঘ প্রায় 2525 km.। এর মধ্যে 2017 কিমি. ভারতে প্রবাহিত হয়েছে । এই নদীতে প্রধানত তিনটি গতিপথ লক্ষ্য করা যায় ।
যথা :- উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি । এই কারণে গঙ্গাকে আদর্শ নদী বলা হয়।
গতিপথের বর্ণনা :-
(i) উৎস ও উচ্চগতি :- উত্তরাখন্ডের কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গূহা থেকে উৎপন্ন ভাগীরথী হল গঙ্গার উৎস নদী । শতপন্থা হিমালয় থেকে উৎপন্ন অলকানন্দের সঙ্গে রুদ্র প্রয়াগে মন্দাকিনি মিলিত হয়ে অলকানন্দ নামে দেবপ্রয়াগের কাছে ভাগীরথীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে । দেবপ্রয়াগের পর থেকে ভাগীরথী অলকানন্দের মিলিত প্রবাহ গঙ্গা ।
(ii) মধ্যগতি :- হরিদ্বার থেকে রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত প্রায় 1600 কিমি. প্রবাহ গঙ্গার মধ্যগতি । হরিদ্বার থেকে প্রথমে দক্ষিণপূর্ব ও পরে পূর্বদিকে অসংখ্য বাঁক সৃষ্টি করে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ।
(iii) নিম্নগতি :- পশ্চিমবঙ্গের ধুলিয়ান থেকে মোহনা পর্যন্ত গঙ্গার নিম্নগতি । পশ্চিমবঙ্গের ধুলিয়ান গিরিয়ার কাছে এসে গঙ্গা দুই ভাগে ভাগ হয়েছে । প্রধান শাখাটি পদ্মা নাম নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে । অপ্রধান শাখাটি মুর্শিদাবাদ, কলকাতার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে ।